রুহুল আমিন তরুণঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তিনবারের (১৯৯৭-২০২২) সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেলের মা খায়রুন্নেছা মৃত্যুবরণ করেন( ইন্না-লিল্লাহ অইন্না ইলাইহে রাজেউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১০০ বছর। মরহুমার স্বামী লুৎফর রহমান বিগত ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ২২ মে সোমবার রাত সাড়ে দশটায় বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগভোগ শেষে স্বামীর বাড়িতে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে যান। ২৩ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় জানাজা শেষে তাকে মরহুম স্বামী লুৎফর রহমান এর পাশে দাফন করা হয়।
খায়রুন্নেছার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন হেমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিআইপি ইঞ্জিনিয়ার মো: শফিকুর রহমান,পাওয়ার সেলের ডিজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন এবং শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি কামরুজ্জামান মিন্টু।
পৃথক পৃথক ৩টি আলাদা আলাদাভাবে প্রেরিত শোক বানীতে তাঁরা উল্লেখ করেন, আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমরা মরহুমার আত্মার চির শান্তি কামনা করি। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
শোকবানিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, এই পৃথিবীতে কেউ থাকতে আসেনি একদিন সবাইকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। কেউ আগে আর কেউবা পরে। তাই আমরা মরহুমার পরিবারের সকল সদস্যকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য বলি। তারা দোয়া করে বলেন, মরহুমার পরিবারের সকল সদস্যকে মহান আল্লাহ যেন প্রিয়জন হারানোর এই কষ্ট সহ্য ও ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দান করেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ যোবায়দুল কবির (বাহাদুর), শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা বিল্লাল হোসেন তুষার, ইঞ্জিনিয়ার মামুন আলম, মনিরুজ্জামান আনসারি, শাহরাস্তি উপজেলার ছাত্রলীগের আহবায়ক এমদাদুল হক মিলন সহ শাহরাস্তি উপজেলার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
জানাজা পড়ান মরহুমার দৈহিত্র মাওলানা বোরহান উদ্দিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মরহুমা খায়রুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল একজন রাজনীতির মাঠের পোড় খাওয়া তৃণমূলের কর্মী। অনেককে বলতে শুনা যায় তৃণমূল থেকে সারাজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে জীবনের শুরু থেকে অদ্যাবধি তিনি অবহেলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগে তাঁর ত্যাগ অনুযায়ী তিনি শুধু অবহেলার শিকার হতে হয়েছে। তার তেমন কোন প্রাপ্তি নেই। যা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় নেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, এক বর্ণাঢ্য রাজনীতির জীবনের অধিকারী জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল। তিনি ১৯৮৫ সালে খেড়িহর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ালেখা কালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। প্রথমে তিনি চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ড়ের ছাত্রলীগের নেতা তারপর শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক, অত:পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, থানা আওয়ামী লীগের সদস্য শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩ মেয়াদে ১৯৯৭ সাল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০২২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত নৌকার প্রতীক নিয়ে তিনি দলীয় কোন্দলের কারনে পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব উপস্থিত থাকেন। কিন্তু দলীয় কোন্দলে পড়ে তিনি কোন মূল্যায়িত হননা।
এক প্রতিক্রিয়ায় জনাব আদেল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি বুকে ধারণ করি। কি পেলাম আর কি পেলাম না তা নিয়ে আমি কখনো ভাবিনা। আমি কোন কিছু না পেলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্র নায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে যাবেন। তৃনমূলের রাজনৈতিক সহকর্মীদের অনেককে বলতে শুনা যায় তৃণমূলের আদেলদের মূল্যায় জরুরি ও কাম্য।