রহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসায় ঢুকে এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে বোয়ালিয়া নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টির বিচার প্রার্থনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংলিষ্ট বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আলী আজগর। এ সময় হঠাৎ করে অভিযুক্ত অভিভাবক কাজী জসিম উদ্দিন ও কাজী আল আমিন মাদ্রাসার ক্লাস রুমে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষককে মারধর করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ও ভাঙচুর করার হুমকি দেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। মাদ্রাসার নিয়মশৃঙ্খলা না মেনে তাঁর ছেলে ছুটি কাটিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীকে হুজুর শাসন করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে মারধর করেন।
মারধরের শিকার শিক্ষক আলী আজগর বলেন, ‘আমি ক্লাসে পড়ানোর সময় হঠাৎ করে ক্লাসে এসে আমাকে মারধর করা শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘হুজুর দীর্ঘদিন আমাদের মাদ্রাসায় চাকরি করে আসছেন। কেন তিনি মারধরের শিকার হলেন, আমরা এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছি। বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
অভিযুক্ত কাজী জসিম উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই মাদ্রাসার অভিভাবক। আমার ছেলে ঢাকাতে গিয়েছিল। আসার পর শিক্ষক আমার ছেলেকে মেরেছে, তাই আমি রাগে তাঁকে মেরেছি।
ছুটির জন্য আবেদন করেছেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো বিষয় আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।