রাজধানীর ডেমরায় উম্মে হানি (২৬) নামে এক গার্মেন্টকর্মীর উদ্ধার ঝুলন্ত লাশ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের মা সুফিয়া খাতুন (৬৫) বাদী হয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে মেয়ের জামাই মো. মিন্টুর (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ মিন্টুকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে।
মিন্টু পূর্ব বক্সনগর লাল সাধুর টিনশেড বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও কুড়িগ্রামের সদর থানার আন্দারিবাজার গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার সকালে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই লাল সাধুর বাড়ী থেকে লোহার অ্যাঙ্গেলের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মৃতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার নরনদী গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের মেয়ে। মৃতের পরিবারের দাবি মাদকাসক্ত মিন্টু টাকার জন্য শ্বাসরোধ করে উম্মে হানিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে বা জোরপূর্বক ঝুলিয়ে হত্যা করেছে।
ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার (ইন্সপেক্টর) সুব্রত কুমার পোদ্দার জানান, উম্মে হানির লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে শুক্রবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেও পাঠানো হয়। শনিবার মিন্টুকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের ছোট বোন আলেয়া আক্তার বলেন, আমার বড় বোনকে হত্যা করা হয়েছে। সে নিমাই কাসারি এলাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। আর বেতনের টাকা নেওয়ার জন্য ভগ্নিপতি মাদকাসক্ত মিন্টু আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো। এমনকি আমার বোনের রোজগারের টাকা নেওয়ার জন্য বিয়ের ৮ বছর হয়ে গেলেও মিন্টু সন্তান নিতে রাজি হয়নি। তাছাড়া সে বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আমার বোনের সঙ্গে প্রতারনা করে বিয়ে করে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন,ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।