
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ সাবরিনা কাদির কোন ছুটি না নিয়েই গত ১০ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্টরা তাকে বারবার চিঠি দিয়ে তলব করে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলেও তিনি কোন জবাব দেননি।
এছাড়াও তার সাথে কোন রকম যোগাযোগই করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলা ও সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহাদাৎ হোসেন।
ডাক্তার সাবরিনা কাদিরের অনুপস্থিতিতে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হচ্ছে অন্য বিভাগের ডাক্তারদের দিয়ে। এতে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো.গোলাম মাওলা বলেন, তিনি দীর্ঘ ১০ মাস নাই। কোথায় আছেন আমরা জানি না। ওনাকে অনেক চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাড়িতেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি কোন জবাব দেননি।
ডাক্তার সাবরিনা কাদিরের অনুপস্থিতে গাইনী চিকিৎসা কিভাবে পরিচালনা করা হয়? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাইনি বিষয়ের অনেক কাজ আমরা অন্য বিষয়ে অন্য ডাক্তার দিয়ে চালাচ্ছি। গাইনি বিষয়ে কাজ জানে এমন অন্য ডাক্তার আছে। তাদের দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছি। তবে উনি থাকলে অপারেশন আরো বেশি হতো। উনি অনেক অভিজ্ঞ ও দক্ষ ছিলো। উনি থাকলে যে সুবিধা হতো হয়তো এখন সেটা হচ্ছে না। তবে আমরা মেকআপ করে নিচ্ছি। এখন তো আর সেবা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। সেজন্য আমরা কোনমতে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
এই বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গাইনি ডাক্তার যিনি এখানে জয়েন করেছেন। তিনি মাত্র ৮-১০ দিন চাকরি করার পর । কাউকে কিছু না বলে । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না বলে তিনি চলে গেছে। উনাকে অনেক চিঠি পত্র দেয়া হয়েছে। উনার কোন খোঁজ নাই। উনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উনি নিখোঁজ। কতদিন ধরে তিনি কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত জানতে চাইলে, তিনি জানান, গত ১০ মাস ধরে গাইনী ডাক্তার অনুপস্থিত।
তার পরিবর্তে অন্য কাউকে কেন নিয়োগ দেওয়া হয় না ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পদ যাতে শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেই জন্য আমরা একেরপর এক চিঠি দিয়েছি। অল রেডি আমরা পাঁচটা চিঠি দিয়েছি। গত ১৫ দিন আগেও আবার চিঠি পাঠিয়েছে। তাছাড়া এই পদ শূন্য ঘোষণা ছাড়া আমরা তো অন্য নতুন কোন ডাক্তার নিয়োগ দিতে পারি না। এই পদ শূন্য ঘোষনা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।