
“চাঁদ আর মাধবীলতার সখ্যতা”
স্বপ্না রহমান
মাধবীলতা আর চাঁদের সখ্যতা যেনো অস্পর্শী-বিমূর্ত
যতদূরেই থাকি না কেনো মনটা সুতোয় গাঁথা
আসমানের ঐ কালো মেঘের ওপরে চাঁদ
তাও তুমি দিতে পারো মানবকূলে জোস্নার স্বাদ।।
তোমাকে নিয়ে কত গল্প, কত কবিতা
কেউবা আবার আবীর রাঙায় নিজের পায়
সেই দূর-দূরান্ত থেকে মাধবীলতা তোমার অপেক্ষায়
বেঁচে থাকে জোস্নার আলোয় যেনো অস্পর্শী
মাধবীলতার দায়—-।।
চাঁদের কলঙ্ক আছে জানি সবার জানা
যখন সে পূর্ণিমা নিয়ে আঁধার কাঁটায়
জোস্নার আলোয় ভর্তি থাকে রাতের শেষ বেলা
ভোর গড়িয়ে সকাল মাধবী ফুল গুলো যেনো
বরণ ঢালা সাজিয়ে অপেক্ষায় বিরাজমান।।
আসমানী হয়ে আকাশ পানে থাকো তুমি সুখে
তারা হয়ে জ্বলে উঠবো তোমার আকাশের বুকে
মাধবীলতা শিকড় নিয়ে মাটির কূলে ই আনাগোনা
সমাজ সংসারে তোমার শেখানো নিয়মে
ঝাপটে মেলছে তার ডানা।।
মাধবীলতার সৌন্দর্য আর গুনে মুগ্ধ সবাই
জীবনের ছোটো পরিসরে যা পেয়েছে মাধবী
একই বৃন্তে হরেক রকমের ফুল
কলঙ্কিত চাঁদের জোস্নার আলোয় নিঃশব্দে মাধবী ফুল।।
চাঁদের কলঙ্ক হাজারো থাকুক
মাধবীকে আবীর দিয়ে রাঙানো আমার কাজ
তোকে একা করে যেতে পারিনি বলে
এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে স্রষ্টা আমায়
এই পৃথিবীর বুকে বলিতে নাহি লাজ।।